এর আগে ২৩৬ কার্যদিবসে ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, ২৮ কার্যদিবস আত্মপক্ষ সমর্থন ও ১৬ কার্যদিবস যুক্তি-তর্ক শুনানি গ্রহণ করা হয়।
মামলা দায়েরের ১০ বছর পর এ রায় ঘোষণা করা হচ্ছে।
এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষিত হয়েছে। তিনি প্রায় ছয় বছর সাজা খেটেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামির বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণিত হয়নি দাবি করে সব আসামির খালাস দাবি করেছেন।
অপরদিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন দাবি করে খালেদা জিয়াসহ সব আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চেয়েছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বৃহস্পতিবার খালেদা আদালতে যাওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায় শুনতে খালেদা বেলা ১১টা নাগাদ আদালতে পৌঁছাবেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।
মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ কারাগারে আটক রয়েছেন। তারেক রহমান সরকারের নির্বাহী আদেশে দেশের বাইরে। ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ অপর চারজনকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমআই/এএ