এ মামলায় প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ফলে গত দুই দিনে প্রকাশ্যে তেমন দেখা মিলছে না বিএনপি নেতাকর্মীদের।
গত সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার সিলেট আগমন উপলক্ষে মৌলভীবাজারের শেরপুরে ব্যাপক শোডাউনের চেষ্টা করে মৌলভীবাজার বিএনপি। পুলিশি বাধায় শেরপুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর শেরপুর পৌঁছালে ঝটিকা মিছিল করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে পুলিশ ধাওয়া দিলে উত্তেজিত হয়ে পড়ে বিএনপি কর্মীরা।
এ ঘটনায় পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪০/৪৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এ মামলায় ৪ বিএনপি নেতাকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তবে তাদের নাম ঠিকানা এখনো জানানো হয়নি।
একই দিন বিকেলে শ্রীমঙ্গলে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে এক বিএনপি নেতা এবং শ্রীমঙ্গল থানার ওসিসহ ২ পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করে। সেসময় ঘটিনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক করে পুলিশ।
দুই মামলার আসামি ধরতে এবং নাশকতা এড়াতে মৌলভীবাজারে বিএনপি নেতাদের বাসায় এবং বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। গ্রেফতার এড়াতে অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। প্রকাশ্যে তেমন দেখা যাচ্ছে না বিএনপি নেতাকর্মীদের। জেলা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের বাসায় ইতোমধ্যে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে মামলা দু’টিকে হয়রানিমূলক বলে দাবি করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোনো কারণ ছাড়াই মামলা দিয়েছে পুলিশ। সদর উপজেলায় খালেদা জিয়ার আগমনের দিন শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে কোনো ধরনের সামান্য ধ্বস্তাধস্তিও হয়নি। আমাদের রাজপথ থেকে সরাতে এ ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমদ মামলার সত্যতা নিশ্চিয় করে বাংলানিউজকে জানান, আসামি ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নাশকতা এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০২ ঘণ্টা, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
আরএ