ঢাকা, রবিবার, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৫ মে ২০২৫, ২৭ জিলকদ ১৪৪৬

রাজনীতি

গৃহকর্মীকে মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট চেয়ে খালেদার আবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৫৪, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৮
গৃহকর্মীকে মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট চেয়ে খালেদার আবেদন জেলগেটে খালেদাকে বহন করা গাড়ি/ছবি: শাকিল

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। অন্যের সহায়তা ছাড়া হাঁটতেও পারেন না। তাই কারাগারে তার মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী, দলটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।  

মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে তার গৃহকর্মী ফাতেমার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

রায়ের পর খালেদাকে কারাগারে নেওয়ার সময় ফাতেমাকে তার গাড়িতে উঠতে দেখা যায়। তবে কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  

আইনজীবী মেজবাহ জানান, খালেদা জিয়ার সাজার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। তাকে সাজা দিয়ে রায় প্রচারের পর বিচারক দ্রুত এজলাস থেকে নেমে যান। খালেদা জিয়া আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। রায় শোনার পর তিনি আরও অসুস্থবোধ করায় ম্যাডামের সঙ্গে মেডিকেল অ্যাসিসট্যান্ট দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। বিচারক বিষয়টি নিয়ে পরে আদেশ দেবেন। তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১২টায় রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে রওয়ানা হয়ে দুপুর পৌনে ২টার দিকে বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত পৌঁছান খালেদা জিয়া। এসময় তার পরনে ছিল ঘিয়ে রঙের শাড়ি।  

তার উপস্থিতিতে বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। রায়ে খালেদাকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও তারেক রহমানসহ অপর আসামিদের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া খালেদা বাদে অপর ৫ আসামিকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে কখনও ফাতেমাকে আদালতে দেখা যায়নি। রায়ে নেতিবাচক কিছু আশঙ্কা করে তাকে বৃহস্পতিবার সঙ্গে করে আনা হয়।

কারাগারে খালেদা
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এমআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।