বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রায় ঘোষণার পর আদালত চত্বর থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় আদালত অভ্যন্তর থেকে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক কর্মী সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এগিয়ে এলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। তখন পুলিশের পাশাপাশি প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে এক যুবককে গুলি করতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রকাশ্যে অস্ত্র বের করে প্রতিপক্ষকে গুলি করার ঘটনায় তোলপাড় চলছে সিলেটে।
ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলাকালে অস্ত্রধারী ওই যুবক ছাত্রদল কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে অস্ত্র হাতে গুলি ছুড়ে। একপর্যায়ে নগরের সিটি পয়েন্ট, কোর্ট পয়েন্ট, বন্দরবাজার, জেলরোড, মহাজনপট্টি, লালদিঘীরপাড় এলাকায়ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিএনপি-আওয়ামী লীগের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে কনস্টেবল আলাউদ্দিন ও শামীম, ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল, সিলেট জজ আদালতের পান দোকানি জয়নুল ইসলাম, ছাত্রদল কর্মী ওয়াহিদ, রুনু আহমদ, নজরুল ইসলাম, আব্দুল আহাদ সুমন, সেলিম মিয়া, এমদাদুল ইসলাম মিজান, সাইদুর রহমান সাইদ, আফজাল হোসেন, আহমদ শাহিন লিংকন সমা এবং সাংবাদিক মামুন হাসানের নাম জানা গেছে।
এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, গাড়ি ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অস্ত্রধারী ব্যক্তির খোঁজ নিচ্ছি। তবে এখনো তাকে সনাক্ত করা যায়নি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহম্মদ আব্দুল বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরে দুই ঘণ্টাব্যাপী ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এছাড়া বিএনপির চার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছর ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুপুরে ঢাকার বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮
এনইউ/আরবি/