তবে এবার সেই অভিযোগের খোলস ভাঙলেন রিজভী নিজেই। জানালেন সোহেল আটক নেই, যেখানেই আছেন ভালো আছেন।
যদিও বৃহস্পতিবার খালেদার গাড়ি বহরেই তাকে দেখা গিয়েছিল বলে বাংলানিউজসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে রিজভী অভিযোগ করেছিলেন, সোহেলকে রাজধানীর মালিবাগের একটি বাসা থেকে আটক করে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তার আগের দিন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সিলেট সফরে যান সোহেল। ভোরে ঢাকায় ফিরে আসার পর তাকে আটক করা হয়।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিএমপি কমিশনার বারবারই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, তাদেরে কোনো ইউনিটের কাছে সোহেলকে আটকের তথ্য নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সোহেল হয়তো আত্মগোপন করে থাকতে পারেন। এটা তাদের অপপ্রচার, কৌশল।
বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রিজভী সঙ্গে কথা বলে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যই সঠিক বলে প্রমাণিত হলো। সোহেলকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য আটক করেনি। ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া যখন বাসা থেকে আদালতের দিকে যাচ্ছিলেন তখন তার গাড়ির সামনে দেখা যায় বিএনপির এই নেতা সোহেলকে। ছবিতেও খালেদা জিয়ার গাড়ির সামনে মিছিলে সোহলেকে দেখা যায়। এতে প্রমাণ হয় সোহেল আসলেই আটক হননি।
রিজভীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি তাহলে আটকের অভিযোগ কেন করেছিলেন? জবাবে তিনি বলেন, আমি সরকারের গোয়েন্দা সূত্রেই এ তথ্য পেয়েছিলাম। কিন্তু তারা এ ধরনের তথ্য কেন দিয়েছিল বলতে পারছি না। সোহেল এখন কোথায় আছে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, তা বলতে পারবো না। এই সময় সবাই একটু সাবধানেই থাকছে। তবে তিনি ভালোই আছেন। তাকে আটক করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২০দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, সোহেল আটকের নাটকটি কেন সাজানো হয়েছিল আমি বলতে পারবো না। তবে অনেক সময় গোয়েন্দা সদস্যরা এমন গুজব ছড়িয়ে দেয়। কারণ যাকে আটকের খবরটি ছড়িয়ে দেয়া হয়, তার সঙ্গে অনেকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানার চেষ্টা করে, ওই ব্যক্তি আসলেই আটক কি না। ওই সময় মোবাইল ট্র্যাকিং করে তাকে আটক করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ