এর আগে, চারবার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালত দিন ধার্য করলেও অসুস্থতার কারণে রানাকে আদালতে হাজির করা যায়নি। ফলে চারবার পেছতে হয়েছে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টায় এই মামলার প্রধান আসামি রানাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইলের আদালতে আনা হয়। টাঙ্গাইল কারাগার থেকে আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী ও মো. সমিরকে এবং জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান ও ফরিদ আহমেদকে আদালতে হাজির করা হয়।
রানার উপস্থিতিতে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার বাদী নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব।
এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান, নিহত ফারুক আহমেদের ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুন সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য হাজিরা দেন। বেলা ১১টায় আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।
সাক্ষ্যদানের সময় নাহার আহমেদ আদালতকে জানান, মৃত্যুর আগে ফারুক আহমেদ তাকে মাঝে মধ্যেই বলতেন এমপি রানা ও তার ভাইয়েরা তাকে মেরে ফেলতে পারেন।
নাহার আদালতকে জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ায় রানা ও তার ভাইয়েরা তার ফারুককে হত্যা করেছেন।
এসময় কাঠগড়ায় উপস্থিত এমপি রানাসহ অন্যান্য আসামিদের সনাক্ত করেন নাহার আহমেদ।
তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এমপি রানার আইনজীবী আব্দুল বাকী মিয়া তাকে জেরা শুরু করেন। আংশিক জেরা হওয়ার পর আদালত আগামী ২০ মার্চ পুনরায় জেরা ও অন্যান্য সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এসময় আদালতের অনুমতি নিয়ে এমপি রানা বলেন, আদালতে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। নিরাপত্তা যথাযথ না হলে তার আদালতে আসা সমস্যা।
এসময় অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি জানান, এমপি রানা রাষ্ট্রীয় হেফাজতে রয়েছেন। তার নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।
সাক্ষ্য দেওয়া শেষে নাহার আহমেদ জানান, এই মামলার আসামি রানা অসুস্থতার অজুহাতে বিচার কাজ বিলম্বিত করেছেন। তিনি যাতে আর কোনো অজুহাতে বিচার কাজ বিলম্বিত করতে না পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
**রানাকে আদালতে হাজির না করায় ফের পেছাল সাক্ষ্যগ্রহণ
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এনটি