বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা চত্বরে হত্যার শিকার হন তিনি। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শিকদার আব্দুর হান্নান রুনু বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পলাশের বাড়ি উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে বাড়ি থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে একটি সভায় অংশ নিতে উপজেলা চত্বরে আসেন পলাশ। সভা শুরুর আগে নাস্তা করার পর ইউএনও’র কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মোটরসাইকেল করে ব্যক্তিগত কাজে লক্ষ্মীপাশা সোনালী ব্যাংকে যাচ্ছিলেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ইউপি সদস্য ফরিদ আহম্মেদ বুলু। উপজেলা চত্বরের সেটেলমেন্ট অফিসের পূর্ব পাশে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা চার/পাঁচজন লোক প্রথমে পলাশের মাথায় গুলি করেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা তাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যান। এ সময় বুলুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পলাশকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে নড়াইলের পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান লতিফুর রহমান পলাশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। এর আগে তিনি একই ইউনিয়নে আট বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮
এসআই