সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রায়ের কপি পাওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, রায়ের কপি দেখেছি। তবে পুরোটা দেখতে আরো সময় লাগবে।
বিচারক তার রায়ে আমাদের বক্তব্য খণ্ডন করেন নি। বিচারক বলেছেন, রাষ্ট্রের এই টাকার কিছু অংশ বিভিন্ন সময় চেকের মাধ্যমে অন্যত্র নেয়া হয়েছে।
ট্রাস্ট আইনে এটা যদি অনিয়ম হয়েও থাকে তাহলে তার সঙ্গে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) জড়িত নন। তিনি ট্রাস্টের কোনো সদস্য না। তিনি কোনো চেকে সই করেন নি। কুয়েত থেকে যে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এসেছে তা ব্যাংকে আছে। সে টাকা বেড়ে এখন ৬ কোটি হয়েছে। তাহলে আত্মসাত হলো কিভাবে প্রশ্ন করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, জিয়া অরফানেজের টাকা কুয়েতের আমির পাঠিয়েছিলেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সেই টাকা এনেছিলেন। ওই টাকার একটি অংশ জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টে গিয়েছিল। এটার ট্রাস্টি ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, তার স্ত্রী সুফিয়া রহমান ও ছেলে রিয়াজ রহমান। অথচ সেখানে কোনো মামলা হয়নি। অথচ মামলা হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে। যেখানে খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তার বিরুদ্ধে ৪০৯ ধারায় যে রায় দেয়া হয়েছে তা বে-আইনি।
খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী বলেন, আজকে রায়ের সার্টিফাইড কপি পেলাম। আগামীকাল হাইকোর্টের সেকশনে আপিলের আবেদন করবো। সেখানে একটা নম্বর পড়বে। তারপর ঠিক করবো কোন বিচারপতির আদালতে আপিলটি হবে। আপিল হওয়ার পর শুনানি হবে। আশা করি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া এই মামলায় জামিন পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮
এমএইচ/এসএইচ