জামিন শুনানির সময় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের আদালতে এমন তথ্য তুলে ধরেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
জামিন শুনানি শেষে খুরশীদ আলম খান বলেন, জামিন আবেদনকারী পক্ষ দু’টি যুক্তিতে জামিন চেয়েছেন।
হেলথ কন্ডিশনে তারা বলেছেন, তার (খালেদা জিয়া) ৭৩ বছর বয়স। কিন্তু যেসব অসুস্থতার কথা বললেন, তার সাপোর্টিং কোনো কাগজপত্র দেওয়া হয়নি।
এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা খাটার বিষয়ে খুরশীদ আলম খান বলেন, আজ পর্যন্ত তিনি ২ মাস ৫ দিন জেলে আছেন। মামলার রায়ের পর ১৮ দিন। বাকিগুলো রায়ের আগে। এই অল্প সাজা খেটে তিনি জামিন চান। এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা যে পয়েন্টে কথা বলেছেন, আমি সেই পয়েন্টেই রিপ্লাই দিয়েছি। দুদক চেয়েছে যাতে ওনার জামিন না হয়। আমরা নজির দেখিয়েছি যে শর্ট প্রিয়ডে জামিন দেওয়া যায় না।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান মামলাটিতে খালেদা জিয়ার ৫ বছর কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদাপুত্র তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান।
অনুলিপি হাতে পাওয়ার পরদিন ২০ ফেব্রুয়ারি আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ওইদিনই আদালত শুনানির জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট শুনানির জন্য আপিল গ্রহণ করে জরিমানা স্থগিত করেন। একইসঙ্গে বিচারিক আদালতের নথি তলব করেন। পাশাপাশি জামিন শুনানির জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
রোববার জামিন শুনানি শেষে বিচারিক আদালতের নথি হাইকোর্টে আসার পর জামিনের ওপর আদেশের সময় নির্ধারণ করেন আদালত।
সাজা ঘোষণার পর থেকে খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
ইএস/জেডএস