বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ফখরুল। রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে সকালে খালেদার চার মাসের জামিন স্থগিত করে আদেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ।
মির্জা ফখরুল বলেন, এ রায়ে আমরা আশাহত। একে একে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে সরকার। এখন বিচার বিভাগকেও ধ্বংস করতে চায়। বিচার বিভাগকে দলীয়করণের মাধ্যমে আমরা যেন আইনি সুবিধা না পাই সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখাই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে ওকালতনামায় সই করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিচার বিভাগকে পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছে। লিগ্যাল রিলিফ এবং আইনি সুবিধাও পাচ্ছে না বিএনপি। বিএনপি যখন নির্বাচন করতে চায়, তখনই এসব প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। তারা বিচার বিভাগের ওপর চড়াও হয়েছে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন আপিল বিভাগ স্থগিত করে আমাদের বিস্মিত করেছে। বিএনপি প্রধানের আইনজীবীদের কথা না শুনে এ ধরনের আদেশ দেওয়া যুক্তিসংগত হয়নি। আদালতের এই রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। আমরা এমনটি আশা করিনি।
ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
এমএইচ/এইচএ/