‘আমাদের সংবিধান: একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (১৬ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে ‘আপহোল্ড৯৯- গণতন্ত্র ও সমাজ অগ্রগতির চিন্তা’ নামক একটি সংগঠন।
এতে সভাপতিত্ব করেন আলাউদ্দিন মল্লিক। প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মনজুর হাসান দিলু। সঞ্চালনায় ছিলেন মো. হাবিবুর রহমান।
মনজুর হাসান দিলু তার লিখিত বক্তৃতায় বলেন, গণতান্ত্রিক অথবা স্বৈরতান্ত্রিক, লিবারেল গণতান্ত্রিক অথবা সমাজতান্ত্রিক এমন বিদ্যমান দুনিয়ার সব রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও সরকারের শাসন কাঠামো ক্ষমতা ঊর্ধ্ব থেকে নিম্নকেন্দ্রিক বা টপ-ডাউন ধারা।
তিনি বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বার্থপর, নীতিহীন ও ভোগবাদি মানসিকতা সম্পন্ন তথাকথিত শিক্ষিত সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছে। স্বাস্থ্যনীতির মাধ্যমে জনগণকে ডাক্তার, ওষুধ কোম্পানি, প্রাইভেট ক্নিনিক ও সরকারি হাসপাতালের কাছে জিম্মি করা হয়েছে। দেশের সব জনগণ তিন বেলা ভাত খাচ্ছে এমন স্লোগানের আড়ালে মানুষের খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের বিশাল অসাম্যকে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন সন্ত্রাসের জন্ম হচ্ছে।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ আবু সাঈদ বলেন, বহু শহীদ রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু দুঃখ হলো আমরা যা অর্জন করি তা ভুলে যাই, তা ধারণ করি না।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে ২১ শতকে দু’টি চ্যালেঞ্জ। তা হলো, জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর সমাজ নির্মাণ করতে হবে। এটা করতে না পারলে কথা বলে লাভ হবে না। প্রযুক্তি ও জ্ঞান নির্ভর সমাজ গড়তে হলে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে জবরদস্তি শাসন চলছে। জনগণের অধিকার প্রতিমুহূর্তে ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা ভাবছে তারা সুবিধাজনক স্থানে আছে। কিন্তু সেটা ভালো হবে না, কারণ ক্ষমতা চিরকাল থাকে না। আজ যারা ক্ষমতার বাইরে তারা সেটা উপলব্দি করতে পারছেন। তারাও যখন ক্ষমতায় ছিলেন একই কাজ তারাও করেছিলেন।
গোলটেবিল আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি সাইফুল হক, সাবেক এমপি হুমায়ুন কবির হিরু, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস