গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর নাম এস.এম. আলমগীর রনি। তিনি ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি (এফইটি) বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাবিপ্রবি ফটকের সাতকড়া রেস্টুরেন্টে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক ময়মনসিংহ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এসময় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাজিদুল ইসলাম সবুজ ও আবু সাঈদ আকন্দের অনুসারীরা তারিকুল ইসলামের সঙ্গে তর্কবিতর্কে লিপ্ত হন। এসময় তারিকুলের উপর হামলা হলে তিনি পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় সাধারণ শিক্ষার্থী রনির পায়ে গুলি লাগে। রনিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তারিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগের সৈয়দ জুয়েম, আশরাফুল আলম অন্তু, দোলন আহমদ ও মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের নেতৃত্বে আমার উপর হামলা হয়। তারা কেন্দ্রীয় সদস্য আবু সাঈদ আকন্দ ও সাজিদুল ইসলাম সবুজ অনুসারী। কিন্তু গুলি কেন ছুড়লেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি গুলি ছোড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে সাজিদুল ইসলাম সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, তারেক ছাত্রদলের মদদদাতা ও মাদক ব্যবসায়ী। তারেক ওই সময় অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে সে গুলি ছুড়ে। আমি সিলেটের বাইরে ছিলাম।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর জাহিদ হাসান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি। একটা ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮/আপডেট: ০২২৪ ঘণ্টা
আরআর