বুধবার (২১ মার্চ) সকালে ময়মনসিংহ সদর আদালতে তিনি এ মামলা করবেন। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাংলানিউজকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মোবাইল ফোনে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ.কুদ্দুস বলেন, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কারা হত্যা করেছে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছেন চারজন। তাদের নাম আমি এখন বলবো না। তারা আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বাংলানিউজকে জানান, সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আদালতে শাওনের বাবা মামলা করবেন। এ হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত নিয়েও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন।
চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত মধ্যরাতে রহস্যজনকভাবে গুলিবিদ্ধ হন জেলা ছাত্রলীগ নেতা আশফাক আল রাফি শাওন। প্রথমে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরবর্তীতে তাকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে যান শাওন।
পরবর্তীতে শাওনের বাবা মামলা দায়ের না করায় বিনা ময়নাতদন্তে পরদিন ৯ মার্চ শাওনের নিজ গ্রাম ফুলবাড়িয়া উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিকভাবে অনেক জলঘোলা হওয়ার পর গত বুধবার (১৪ মার্চ) রাতে কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
পরে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গত বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত, এস.এম.আরিফুল হক ওরফে পিচ্চি আরিফ ও আমিনুল ইসলাম হিমেল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
এ সময় কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। রোববার (১৮ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুল হক তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে আদালতের নির্দেশে গত সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য শাওনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এমএএএম/আরআর