রোববার (২৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাসেলের মরদেহ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল থেকে তার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। মরদেহ পেয়ে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিহত রাসেল জেলা সদরের কদমতলীর হরিনাথপাড়ার মো. নুর হোসেনের ছেলে। তিনি ছয় নম্বর পৌরওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টেকো চাকমা।
এ ঘটনার জন্য খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমের অনুসারীদের দায়ী করেছে সংগঠনটি।
এদিকে নিহতকে রাসেলকে দেখতে তারা বাসায় গেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এ সময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মংক্যচিং চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল চাকমাসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত রাসেলের বাবা এমপি কুজেন্দ্র লালকে এ ঘটনার জন্য পৌরমেয়র রফিকুল আলমের অনুসারীরা দায়ী বলে অভিযোগ করে বলেন, রাসেলকে বেশ কয়েকবার মেয়র সমর্থকরা হুমকি দিয়েছেনে।
এদিকে দুপুরে স্থানীয় একটি কবরস্থানে রাসেলের দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন টিটো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেফতারে মাঠে রয়েছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানান তিনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলাজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এএটি