ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের ঘোষণা লতিফ সিদ্দিকীর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের ঘোষণা লতিফ সিদ্দিকীর এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলছেন আবুদল লতিফ সিদ্দিকী। ছবি: বাংলানিউজ

টাঙ্গাইল: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক মন্ত্রী আবুদল লতিফ সিদ্দিকী। 

রোববার (২৫ নভেম্বর) কালিহাতী উপজেলা শহরের মুন্সিপাড়ার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।  

লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমার ভাই কাদের সিদ্দিকী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগদান করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন।

এই ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের দেশবাসী চেনেন। ঐক্যফ্রন্টের বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে কি করেছে তা সবারই জানা। তাদের দ্বারা মানুষের আর কোনো উপকার হবে না। আমি নির্বাচনে এসেছি ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিসিয়ারিদের বিরুদ্ধে, অত্যাচারি-শোষকদের বিরুদ্ধে এবং স্বাধীনতার পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে। আমি নির্বাচনে এসেছি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে, সংসদে জনগণের কথা বলতে এবং শেখ হাসিনাকে সাহায্য করতে। ’
 
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে কালিহাতী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ ও দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ বিভেদ দূর করার জন্য আমি এসেছি। বিগত ৪০ বছর ঐক্য রক্ষা করেছি। আমার ধারণা আমি এবারও ঐক্য রক্ষা করতে পারবো। ’

লতিফ সিদ্দিকী আরো বলেন, ‘আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আমি আওয়ামী লীগের বাইরের কেউ নই। কালিহাতীর আসনটি আওয়ামী লীগের। কালিহাতীর মানুষ আমার মূলশক্তি। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসনটি উপহার দেওয়ার জন্যই নির্বাচনে লড়বো। ’ 

এর আগে শনিবার বিকেলে লতিফ সিদ্দিকী ঢাকা থেকে কালিহাতীতে আসেন। কালিহাতীর বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা লতিফ সিদ্দিকীর সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করছেন। ইতোমধ্যে লতিফ সিদ্দিকীর কর্মীরা কালিহাতীর মোট ভোটারের এক শতাংশ স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন।  

লতিফ সিদ্দিকীর পৈত্রিক নিবাস টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের ছাতিহাটী গ্রামে। তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৭৩, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন।  

এছাড়া ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে লতিফ সিদ্দিকীর স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে লতিফ সিদ্দিকী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত এবং মন্ত্রীত্ব লাভ করেন। ওই বছরই সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে পবিত্র হজ ও তাবলিক জামাত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে মন্ত্রীসভা, দলীয় পদ থেকে অপসারিত এবং সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন লতিফ সিদ্দিকী।  

এরপর ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাসান ইমাম খান এ আসনের এমপি নির্বাচিত হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও হাসান ইমাম খান আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।