ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ’লীগের নয়, দেশ ছেড়ে পালানোর অভ্যাস আছে বিএনপি নেতাদের

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৮
আ’লীগের নয়, দেশ ছেড়ে পালানোর অভ্যাস আছে বিএনপি নেতাদের

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের এক মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশ ছেড়ে পালানোর অভ্যাস আছে বিএনপি নেতাদের। আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই।

রোববার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য রাজনীতি করে।

ক্ষমতায় থাকি বা না থাকি, অতীতেও জনগণের সঙ্গে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সূত্র ধরে বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ বলেছেন- আওয়ামী লীগ নেতাদের নাকি পালাতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই। দেশ ছেড়ে পালানোর অভ্যাস আছে বিএনপির। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনীতি করবে না, মুচলেকা দিয়েই দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল। এখন পর্যন্ত মামলার আসামি হওয়ার পরে মামলা মোকাবেলাও করেনি। তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই পলাতক। বিএনপির আরও বহু নেতা ২০০৬-২০০৮ সাল থেকেই পলাতক। এবার ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর জনগণ তাদের আর পালাতে দেবে না। সুতরাং রিজভী আহমেদসহ বিএনপি নেতাদের অনুরোধ করবো, আপনারা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করবেন না।  

‘ইচ্ছাকৃতভাবে বিএনপি নেতাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হচ্ছে’- রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ঋণখেলাপীদের। প্রত্যেকটি মনোনয়নপত্র রিটার্নিং অফিসার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যেগুলো বৈধ সেগুলোকে বৈধ ঘোষণা করেছেন, আর যেগুলো বাতিলযোগ্য সেগুলোকে বাতিল করেছেন। বাতিল কী কারণে করা হচ্ছে সেটিও সুনির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি চায় তাদের দণ্ডিত আসামিদের মনোনয়ন বৈধ হোক। বিভিন্ন কারণে অন্য দলেরও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এটি শুধু বিএনপির বেলায় হয়েছে তা নয়।  

বিএনপির অপপ্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ অন্যতম মুখপাত্র বলেন, প্রমাণ আপনারা দেখেছেন, কয়েকদিন আগে কামাল হোসেন, আলামিন এবং এনামুল নামে তিনজনকে ধরা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িত এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও তারা যুক্ত। ধরা খাওয়ার পর তারা স্বীকার করেছে।

রিজভী আহমেদসহ বিএনপি নেতাদের অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নিজেরা যে অপকর্মগুলো করছেন সেগুলো বন্ধ করুন। অন্যদের ওপর নিজেদের অপকর্ম চাপানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। আওয়ামী লীগ অপপ্রচার করে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে বদলে গেছে আমরা সেটাই প্রচার করি।

ব্রিফিংকালে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য কামাল হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।