রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নির্বাচন নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাসদর (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশ চক্রবর্তী, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক এবং গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মনির উদ্দিন পাপ্পুসহ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বাম নেতারা বলেন, গোটা দেশ অবরুদ্ধ করে কোটি কোটি ভোটারদের ভোটাধিকার হরণ করে আরও একবার যে জবরদস্তীমূলক প্রহসনের নির্বাচন মঞ্চস্থ করা হলো, বাম গণতান্ত্রিক জোট এ নির্বাচন ও নির্বাচনের ফলাফলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।
নির্বাচনে সরকারের ছকেরই বাস্তবায়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে নেতারা বলেন, প্রতিদ্বন্দিতামূলক নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে গোটা নির্বাচনকে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। ভোর থেকেই দেশব্যাপী ভোট কেন্দ্র দখল, প্রকাশ্য জালিয়াতি, ব্যালট পেপারে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কার সিল মারতে বাধ্য করা, বিরোধীদলীয় ভোটারদের জোর করে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, কোথাও সকাল ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়া প্রভৃতি অসংখ্য ঘটনার মধ্যে দিয়ে সমগ্র নির্বাচন পুরোপুরি অর্থহীন ও হাস্যকর করে তোলা হয়েছে। এ সব তৎপরতার মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী ভোটারদের মধ্যে ভোট নিয়ে যেটুকু আগ্রহ তৈরি হয়েছিল তাকে পুরোপুরি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের যে কোনো অবকাশ নেই তা আরেকবার প্রমাণ করল। এ নির্বাচন ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না। এ নির্বাচনে জনগণের মতামতের কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমএএম/এসএইচ