মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এর আগে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে ফুলের তোড়া দিয়ে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান দফতরের কর্মকর্তারা।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক নির্বাচন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে মানুষের মনে যে ক্ষোভ ছিল, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে। এ ধরনের একটি নির্বাচনের জন্য মানুষ দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছিল।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবার নির্বাচনে যেভাবে নারী-পুরুষ ভোট দিয়েছেন তা দেখে আমার চোখের সামনে সত্তরের নির্বাচন ভেসে উঠেছে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোট দিয়েছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ বছরে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রেখে ক্ষুধা এবং দরিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। এ সময়ে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে। তিনি (শেখ হাসিনা) স্বপ্ন দেখেন ও দেখান। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হবে। আমাদের আগামী দিনগুলো সোনালী দিন।
জাতীয় ঐক্যজোট ও ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি এমন লোক মনোনয়ন দিয়েছেন তাদের অনেকেই গত ১০ বছরে এলাকায় যায়নি। তাদের স্থানীয়রা চেনেন না। একইসঙ্গে প্রার্থীদের টাকার বিনিময় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ফলে তাদের সঙ্গে গণসংযোগ ছিল না মানুষের। জনবিচ্ছিন্নতা ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে ঐক্যজোটের কারণেই তাদের ভরাডুবি হয়েছে।
ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণ স্বাধীনতাবিরোধী ও সন্ত্রাসী দলকে বর্জন করে। এদের সঙ্গে হাত মেলানোয় ড. কামালকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ বিজয় আমাদের প্রয়োজন ছিল উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কাজ করেছি, তাই মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এছাড়া মানুষ বুঝতে পেরেছে, শেখ হাসিনা সরকার ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের ৪২তম অর্থনীতির দেশ। দেশের উন্নয়ন এখন মানুষের সামনে তা দৃশ্যমান। পদ্মাসেতু, ভোলাসেতু, মেট্রোরেল, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এগুলো হলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী যাকে ভালো মনে করবেন তাদেরই নেবেন। এছাড়া আজ গেজেট হলে এমপিদের শপথগ্রহণের পর পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন হবে। তারপর মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। এটা সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আগামী ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হবে। এ লক্ষ্যে বছরব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮, আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা
জিসিজি/আরবি/