বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অপমৃত্যু ঘটেছে উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, এটি একটি কলঙ্কিত নির্বাচন।
তিনি বলেন, বিদেশি কিছু ভাড়া করা পর্যবেক্ষক বলেছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। অথচ পাকিস্তান আমলে যারা নির্বাচন পরিচালনা করেছে তারাও এতো কারচুপি করেনি। শেখ হাসিনার এ বিজয় অল্পদিনের মধ্যে নিন্দার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। কিন্তু এ সময় পর্যন্ত শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না, থাকবেন না। অধঃপতন হবেই। ক্ষমতা কখনোই চিরস্থায়ী হয় না। নিজের দলকে সামলানো এক সময় শেখ হাসিনার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। এমনও হতে পারে যে, পদত্যাগ না করেও চলে যেতে পারেন শেখ হাসিনা।
মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ এখন আর নেই মন্তব্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, এ নির্বাচনে বড় ক্ষতি হয়েছে শেখ হাসিনার। এ ক্ষতি তিনি পোষাতে পারবেন না।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান কাদের সিদ্দিকী।
এ সময় তার সঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৯
টিএম/ওএইচ/