রোববার (০৬ জানুয়ারি) বিকেলে গুলশানে হোটেল ‘আমারি ঢাকা’তে কূটনীতিকদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন একথা জানান।
তিনি বলেন, ভালো আলোচনা হয়েছে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, তারা বলেছে যে, তোমরা কী চাও? আমরা বলি, এই নির্বাচন যেহেতু হয়নি, আরেকটা ভালো নির্বাচন সরকার দিলে শান্তিপূর্ণভাবে সবাই ভোট দিতে পারে- এটা হলে শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে। দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আমরা সবাই মিলে গড়বো।
কূটনীতিকরা আপনাদের কথা শুনে কী বললেন? উত্তরে তিনি বলেন, এখন আমাদের কথা হলো যে, ঠিক আছে যা হয়েছে, হয়েছে। এখন একটা ভালো নির্বাচন দেওয়া হোক। আমরা বলেছি সবাই গঠনমূলক একটা ভূমিকা রাখতে পারে।
‘আমরা কারো বিপক্ষে নই। সরকারকে আমরা বলবো যে, আমরা মনে করি, সবার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে দেশে শান্তিপূর্ণভাবে আরেকটা নির্বাচন হলে যে ফলাফল হয় তার ভিত্তিতে একটা গণতান্ত্রিক সরকার হবে। সেই সরকারই মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারে’।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারসহ যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ ৩০টি বেশি দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে নির্বাচনে ভোটের নানা অনিয়মের একটি ভিডিও পাওয়ার পয়েন্টও উপস্থাপন করা হয়। কূটনীতিকদের তথ্য প্রমাণাদিসহ কাগজপত্র সরবারহ করা হয়।
বৈঠকে ধানের শীষের প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আফরোজা আব্বাস, গোলাম মাওলা রনি, রুমানা মোর্শেদ কনক চাঁপা, জেবা খানও উপস্থিত ছিলেন। তারা নির্বাচনের প্রচারণায় বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
এমএইচ/জেডএস