ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ফের নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যফ্রন্টের তিন কর্মসূচি 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৯
ফের নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যফ্রন্টের তিন কর্মসূচি  সংবাদ সম্মেলনে ড. কামালসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে অবিলম্বে জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা ও তা দ্রুত মীমাংসা এবং ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের এলাকা সফরের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

মঙ্গলবার (০৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় জোটের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
 
বৈঠক শেষে নতুন কর্মসূচি গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

তিনি বলেন, জাতীয় সংলাপ, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা এবং নির্বাচনের সময় যেসব এলাকায় নেতাকর্মীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেসব এলাকায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সফর ও গণসংযোগ করবেন। এর অংশ হিসেবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সিলেটের বালাগঞ্জে যাবেন তারা। যেখানে একজন কর্মী নিহত হয়েছিলেন।
 
ঐক্যফ্রন্টের লিখিত বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সরকারি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ফলে জনগণ নিজেদের মতো প্রকাশ ও গণতান্ত্রিক অধিকার তথা সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
 
অবিলম্বে নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি দিতে ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তা দেখে এবং ওইসব অনুলিপি জনগণ যাতে আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে ৩০ ডিসেম্বর সংবিধান অনুযায়ী কোনো নির্বাচন হয়নি। বাংলাদেশের জনগণ নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনরায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়।
 
কর্মসূচি ঘোষণার শুরুতে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন দেশের মালিক জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। অত্যন্ত ন্যাক্কারজনকভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অপব্যবহার করে এবং সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকাকে নিষ্ক্রিয় করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে।
 
তিনি বলেন, বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জনগণ যে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি বাছাই করে নিতে পারত, সেই নির্বাচন হয়নি।
 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৯
এমএইচ/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।