ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালিদ মাহমুদের মাথায় ইশতেহার পূরণের তাল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
খালিদ মাহমুদের মাথায় ইশতেহার পূরণের তাল নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সভাকক্ষ থেকে তখন মাত্র দফতরে ফিরেছেন প্রতিমন্ত্রী। আগে থেকেই অপেক্ষমানরা একে একে ফুল নিয়ে দফতরে আসছেন। চেয়ার ছেড়ে প্রতিমন্ত্রীও হাত মিলিয়ে উষ্ণ শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। তবে সে সবে খুব বেশি যেন তাল নেই তার। তাই আবারও চেয়ারে বসে সচিব ও অন্য দু’কর্মকর্তার সঙ্গে কর্ম-পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় মগ্ন হয়ে যাচ্ছেন।

তার টেবিলের অর্ধেকটা ফাইলপত্রে ভরা। আর সামনেই রাখা আছে নির্বাচনী ইশতেহার।

ফাইলপত্রের সঙ্গে যেন ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মিলিয়ে নেওয়ারই এক প্রয়াস।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদের প্রথম কর্মদিবসে নিজ দফতরের চিত্র এটা।

মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার পর দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এই তরুণ নেতা বলেছিলেন-প্রধানমন্ত্রী তাদের উপরে আছেন, নৌ মন্ত্রণালয়ের জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কোনো সমস্যাই হবে না তার। তাই প্রথম দিনেই তার টেবিলে শোভা পেল ফাইলপত্রের পাশপাশি নির্বাচনী ইশতেহারও।

বাংলাদেশ সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে এক ঘণ্টারও বেশি সময়ে ধরে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানের মধ্যেই কর্মকর্তারা নতুন প্রতিমন্ত্রীকে মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো প্রেজেন্টেশনে উপস্থাপন করে সম্যক ধারণা দেন। ধারণা পেয়ে তখনই যেন বাস্তবায়নের চিন্তা শুরু করেন তিনি।

খালিদ মাহমুদের টেবিলে শোভা পাচ্ছে নির্বাচনী ইশতেহার-ছবি-বাংলানিউজখালিদ মাহমুদের দফতরে অন্যান্য কর্মকর্তা এবং অতিথিদের সঙ্গে ঢুকে দেখা যায়, সচিবের সঙ্গে বসে মন্ত্রণালয়ের ভবিষৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছেন তিনি। বহমান নদী দিয়েই দেশের অনেক উন্নয়ন সম্ভব- সে কথা নিজেই বলছিলেন প্রতিমন্ত্রী। এক পর্যায়ে কর্মকর্তাদের বলছিলেন- নদীর মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনার কথাও।

সচিব ও অন্য দু’তিনজন কর্মকর্তার আলাপচারিতার মধ্যেই তার টেবিলে ফাইল আরো বেড়ে যায়। কোনোটাতে চোখ বুলাচ্ছেন খালিদ। তবে সামনে রেখেছেন আওয়ামী লীগের ইশতেহার। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইশতেহারে নৌ-পরিবহনের জন্য যা যা আছে সেগুলোতে নজর দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

সকাল ১১ টায় সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষেও দেশের উন্নয়নে অংশীদারত্বের জন্য সবার সহযোগিতা চেয়েছেন খালিদ।

বলেছেন, বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ, এদেশের প্রতি সবারই দায়িত্ব আছে। আমি রাজনীতি করি, আমি দেশের কথা বলি। আমি বক্তব্য, বিবৃতি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির কথা বলি মানে, আমারই সব দায়িত্ব, তা নয়। আমরা যে যার জায়গা থেকে কাজ করছি, সবাই দেশের জন্য কাজ করছি। সকলে মনে করি দেশের জন্য কিছু করণীয় আছে।

খালিদ মাহমুদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি আমার প্রতি যে বিশ্বাস রেখেছেন, আমি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে চাই। এজন্য আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা আমার প্রয়োজন। আমরা উদ্যমী একটা দল নিয়ে এই মন্ত্রণালয়েক সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাই।

সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি নতুন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, বিগত দুই সময়ে মাননীয় মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান এই মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে দিয়েছেন। উন্নয়নের ধারাটা অব্যাহত রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
এমআইএইচ/ইইউডি/এসআরএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।