ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
‘বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে’ কর্মশালায় অতিথিরf-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপি আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, বিএনপি অবশ্যই একটি বড় রাজনৈতিক দল। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে না এসে দেশে আগুন সন্ত্রাসের কাজে নিয়োজিত হয়েছিল।

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে জনগণ বিপুল ভোটে জয়ী করেছে। বিএনপি তার জনপ্রিয়তা হারিয়েছে। তাই আমি তাদের অনুরোধ করবো আপনারা গঠনমূলক সমালোচনা করে এবং দেশের সেবায় এগিয়ে এসে সংসদে অংশগ্রহণ করেন।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এসডিজি'র রোডম্যাপ প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।  

আমরা কোনো পণ্যে সারপ্লাস অর্জন করতে পারিনি উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা ৫ দশমিক ৩০ টাকা খরচ করে প্রতি পিস ডিম উৎপাদন করে বিক্রি করেছে ৪ দশমিক ৫০ টাকায়। পোল্ট্রি মুরগি ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে আমি দেখছি। তাই আমাদের বিভিন্ন পণ্যে সারপ্লাস অর্জনের লক্ষ্যে নামতে হবে। উন্নয়ন ঘটেছে, দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। কিন্তু এ সফলতা দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সম্ভব নয়। এসডিজি অর্জন করতে গেলে আমাদের গবেষণা আরও বাড়াতে হবে এবং উন্নয়নের ধারা ত্বরান্বিত করতে হবে। তবে হাতেগোনা কয়েকটি খাবারের ক্ষেত্রে আমরা সারপ্লাস অর্জন করতে পেরেছি।  

আরেক হিসাব টেনে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে দুই মিলিয়ন ডলার মূল্যের ভোজ্য তেল আমদানি করছে। এটাকে এক মিলিয়ন ডলারে নামানো প্রযুক্তি আমাদের দিয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। তাদের এই প্রযুক্তিকে আমাদের কাজে লাগিয়ে এ আমদানি কমাতে হবে।  

কৃষকদের জন্য সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা এখনও সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না। তারা পণ্য উৎপাদন করছেন কিন্তু দামের অভাবে বিক্রি করলেও লাভবান হতে পারছেন না। যদি আমি শুধু দুধের হিসাব করি, তাহলে আমরা বছরের যে পরিমাণ দুধ উৎপাদন করি তা দিয়ে বাংলাদেশকে ভাসিয়ে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু দাম না পেয়ে আমি এমনও দেখেছি কৃষককে নদীর পানিতে দুধ ঢেলে দিতে।  

বক্তব্যের শুরুতে আবেগে আপ্লুত হয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক হিসেবে সরকারি চাকরিরত ছিলাম। ২০০১ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে রাজনীতিতে অংশ নেয়। সেদিন এই ভবন ছাড়তে গিয়ে আমি যে পরিমাণ ভারাক্রান্ত হয়ে ছিলাম, আজ আবার সেই ঘটনা মনে পড়ে মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তবে আমি ভাগ্যবান যে প্রধানমন্ত্রী আমাকে এরকম একটি উপযুক্ত জায়গায় মন্ত্রিত্ব উপহার দিয়েছেন। যেখানে আমি আমার সর্বোচ্চ জ্ঞান ব্যবহার করে এই খাতকে আরও উন্নত করতে পারবো।  

বিএআরসি'র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, এমিরেটাস বৈজ্ঞানিক ড. কাজী এম. বদরুদ্দোজা প্রমুখ।  

এসময় বক্তারা এসডিজি অর্জন সম্পর্কে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন। এবং এই লক্ষ্য অর্জনে কিভাবে কৃষি খাতকে আরও বেশি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে কর্মপরিকল্পনা বিস্তারিত বর্ণনা করেন। বক্তারা কৃষি গবেষণার ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।