সোমবার (০৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবের সদ্যপ্রয়াত সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীর স্মরণে আয়োজিত এক শোকসভায় বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেবার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এসে প্রেসক্লাবের এ সভায় যোগ দেন ড. হাছান মাহমুদ।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে যান। এ সৌজন্যতা ও সহমর্মিতার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। রাজনীতিতে সৌজন্যতা ও সহমর্মিতা থাকাই উচিত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের মৃত্যুসংবাদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানাতে বিএনপি প্রধানের বাসায় গেলে ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পরও দরজা খোলা হয়নি। খালেদা জিয়া সাধারণ সৌজন্যতা পর্যন্ত রক্ষা করেননি।
‘এক্ষেত্রে খালেদা জিয়া ব্যর্থ হলেও বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে গিয়ে যে সৌজন্যতা ও সহমর্মিতা দেখিয়েছেন সেজন্য তাদের ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানাই। ’
এর আগে বক্তৃতায় প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) সদ্য প্রয়াত মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীরকে তরুণ প্রজন্মের সাংবাদিকদের জন্য এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেন ও প্রয়াতের আত্মার শান্তিকামনা করেন তথ্যমন্ত্রী।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ঢাকা দক্ষিণের কার্যালয়ে আয়োজিত এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে যোগ দেন।
এ সময় ওবায়দুল কাদেরের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৯
এমএ/