বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় তানোরের গোল্লাপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন আলী তানোর পৌর এলাকার রাইচান আকচা গ্রামের সাজ্জাদ আলীর ছেলে ও পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি।
ঘটনার পর তানোর থানা পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সুজন আলী তানোরের গোল্লাপাড়া বাজারে বিক্রির জন্য আম নিয়ে আসেন। সুজনের পাশেই আম বিক্রি করছিলেন আলমগীর এবং তার দুই ছেলে রায়হান ও রাকিব। ক্রেতার কাছে সুজন আলী আমের দাম ৫০ টাকা কেজি বলেন। কিন্তু আলমগীর ও তার দুই ছেলে তাদের আম ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে থাকেন। পরে বিষয়টি নিয়ে সুজন আলী ও আলমগীরের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
এরই একপর্যায়ে আলমগীরের ছেলে রাকিব পাশে থাকা ছুরি দিয়ে সুজন আলীর বুকে কয়েকবার আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলের লুটিয়ে পড়েন মারা যান সুজন আলী।
ঘটনার পর রাকিব পালিয়ে গেলেও স্থানীয়রা আলমগীর ও রায়হানকে আটক করে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে অভিযান চালিয়ে পলাতক রাকিবকেও আটক করে।
রাজশাহীর তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এছাড়া নিহত ছাত্রলীগ নেতা সুজন আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলার প্রস্তুতিও চলছে বলেও জানান তানোর থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এসএস/জেডএস