বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এ সংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
নজরুল ইসলাম বলেন, আজ আমরা দাবি করবো, দেশনেত্রীকে মুক্তি দেওয়া হোক। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণের কাছে জবাদিহিতা করবে এমন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন দেওয়া হোক। বাজেটের নামে সাধারণ মানুষকে করের বোঝায় আটকে ফেলার চক্রান্ত বন্ধ করা হোক। সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাজেটের এমন সব প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হোক। আমরা চাই, এদেশের কৃষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষ যেন সুখে-শান্তিতে জীবন ধারণ করতে পারে।
তিনি বলেন, এ সরকার যানজট নিরসনের ব্যাপারে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। দিনে দুপুরে মানুষ হত্যা হয়, তার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের রাস্তায় বসে থেকে দাবি আদায় করতে হয়। সাংবাদিকদের হত্যার বিচার হয় না। সাগর-রুনি হত্যার পরে বলা হয়েছিলো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু ৪৮ বছরেও গ্রেফতার হবে কি-না তার হিসাব করতে হয়। এ ধরনের সরকার জনগণের মাথায় সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে থাকবে আর জনগণ তা ঝেড়ে ফেলবে না এটা হবে না। নিশ্চয়ই জনগণ এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে এবং বিজয়ী হবে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সংহতি সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফারুক রহমান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা ফরিদ উদ্দিন, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. ইরান অভিযোগ করেন, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ছিলো খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশন। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় তা বাতিল করতে হয়েছে। এ কারণে আমরা সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান শেষ করলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
এমএইচ/আরবি/