একইসঙ্গে উপজেলা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া এবং তাদের মদদ দেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত নগরের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধি সভায় এসব নির্দেশ দেওয়া হয়।
ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ও সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক।
সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মির্জা আজম, মারুফা আক্তার পপি, রেমন্ড আরেং। সভা সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন সিরাজ।
সভায় ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইউনিটে শৃঙ্খলা ও ঐক্য রক্ষা করার ওপর জোর দিয়ে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, এ প্রতিনিধি সভার সফলতা হাততালি নয়, সফলতা বলতে বোঝায় প্রতিটি ইউনিটে ঐক্য ও শৃঙ্খলা রক্ষা করা। সাংগঠনিক কর্মসূচি সঠিকভাবে নিরূপণ করে কাজ করা। এখন নিয়ম মাফিক চিরাচরিত দিবস পালন করার মধ্যে দলের সাংগঠনিক কাঠামো সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগের সংবিধান, উদ্দেশ্য এবং আদর্শ মেনে পার্টি করতে হবে। অনেক দিন লাঠির বাড়ি খাই না তো, অনেক দিন দৌড় দেই না কাজেই কিছু আমাদের স্লথতা হয়তো এসেছে। পার্টিতে নিয়ম-শৃঙ্খলা মানার প্রবণতা আবার নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। প্লিজ কনসিডার ইট এজ পলিটিক্যাল পার্টি নট আ সার্কাস পার্টি।
সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দলকে সংগঠিত করার জন্য, দলকে সুশৃঙ্খল করার জন্য দলের চেইন অব কমান্ডকে আরো সুদৃঢ় করার জন্য এ প্রতিনিধি সভা। উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে নিজেদের মধ্যে একটি শত্রুতার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। কারো সঙ্গে কারো মুখ দেখাদেখি নেই। নিজেদের মধ্যে বিরোধ দূর করে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চলমান সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে বলেন, কোনোভাবেই যেন বিএনপি-জামায়াত, স্বাধীনতাবিরোধী বা যুদ্ধাপরাধীদের কেউ আওয়ামী লীগে ঢুকতে না পারে। যাদের স্থানীয় সরকারে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, সেখানে কী করে নৌকার মানুষরা তাদের বিরুদ্ধে যেতে পারে এটি আমাদের দেখতে হবে। গত কার্যকরী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন তারা দলীয় পদে থাকলে সাসপেন্ড করা। যারা প্রার্থীদের মদদ দিয়েছেন তারা এমপি, মন্ত্রী হলেও তাদের দলীয় পদ থেকে বাদ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এমএএএম/এসকে/আরবি/