বুধবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গুজব নিরসনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মনে করি, যারা গুজব ছাড়ায়, বিশেষ করে যারা প্রাণঘাতী গুজব ছড়ায়, তাদের শাস্তি আরও শক্ত হওয়া উচিত।
মন্ত্রী বলেন, কিছুদিন ধরে নানা বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কিছুদিন আগে লন্ডন থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়, পদ্মাসেতুতে সরকারের অনুমোদন নিয়ে এক লাখ শিশুর মাথা দেওয়া হবে। এটি পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ‘ছেলেধরা’র আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে কিছু মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর, সারাদেশে বিদ্যুৎ থাকবে না গুজব ছড়ানো হয়। আবার, আছে বেসিনে হারপিক ঢেলে দেওয়ার গুজব। আমরা সম্মিলিতভাবে এর বিরুদ্ধে প্রচারের মাধ্যমে গুজবগুলো বন্ধে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে এসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এটি শুধু আমাদের দেশে হচ্ছে তা না, বিশ্বের অন্য দেশেও হচ্ছে। এর পেছনে একটি স্বার্থান্বেষী মহল রয়েছে। এ মহলটি গুজব ছড়াচ্ছে। এ গুজব প্রতিরোধে আমরা গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই। এটা বন্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সার্ভিস প্রভাইডারদেরও সহযোগিতা দরকার। বিভিন্ন দেশ এ ব্যাপারে নীতিমালা করছে। আমাদেরও ভাবা উচিত।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল বিদেশ থেকে পরিচয় গোপন করে পোস্ট দেয়। এক্ষেত্রে তাদের শনাক্ত করা কঠিন। এ গুজব বন্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাইডারদেরও সম্পৃক্ততা দরকার। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) আমাদের আরেকটি উচ্চ পর্যায়ের সভা হবে। সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
এসকে/একে