শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, এরশাদ সাহেবের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা বন্যার্তদের মধ্যে ছুটে এসেছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমরা উদ্বিঘ্ন। ঢাকার মানুষ মশা দেখলেই ভয় পায়। তবে জরুরি অবস্থা জারির করার মত পরিস্থিতি হয়নি। যার যার অবস্থান থেকে ডেঙ্গু রোধে সরকারকে সহায়তা করা উচিৎ। ভবিষ্যতে যাতে ডেঙ্গু না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এতে কারো গাফলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। সবাইকে জবাব দিহিতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
লালমনিরহাটে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুস্থ রোগীদের সহায়তার বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর একটি প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে আমাদের (জাপার) আসলে তেমন কিছু করার নেই। এটা একটি রোগ। এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে পারেন চিকিৎসকরা। তার জন্য সরকার বিশেষ ইউনিট করছে, বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
রাজপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আলম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, জেলা জাপা'র যুগ্ম আহ্বায়ক এসকে খাজা মঈনুদ্দিন, গোকুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা স্বপন প্রমুখ।
এ সময় জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে পাঁচ শত পরিবারের মধ্যে পরিবার প্রতি ১০ কেজি হারে চাল বিতরণ করেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি সকালে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামে এসে ত্রাণ বিতরণ করেন। পরে দুপুরে পুনরায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯
আরএ