মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলরুমে জাতীয় মুক্তিমঞ্চ আয়োজিত ‘দেশের সার্বিক বিরাজমান পরিস্থিতি-উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে নাগরিক ঐক্য’র আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখানে কোনো বিশেষ ধরনের আদর্শ চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
ডেঙ্গুর চেয়ে বন্যায় বেশি মানুষ মারা গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা দেশে ভয়াবহ বন্যার পানি নামা শুরু করেছে। বন্যার পানি যখন নামবে তখন কী পরিমাণ এডিস মশার জন্ম হবে সেটা বিবেচনা করেছেন? কার্যকর মশা মারার ওষুধ আমদানি করে মশা মারা যায়নি। এ ভয়াবহ ব্যর্থতার জন্য আমি মনে করি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও দুই সিটি মেয়রের এখনই পদত্যাগ করা উচিত।
তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়া ৯৮ শতাংশের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। আক্রান্তদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ কোনো চিকিৎসা নেয় না। ২০ জুলাই ডেঙ্গু আক্রান্তের অনুমিত সংখ্যা ধরা হয়েছিল সাড়ে তিন লাখ। এই অনুমিত হিসাব তৈরিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সহায়তা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা। এর চেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য নিশ্চয়ই আমরা আর কোথাও থেকে পাবো না।
তিনি বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের হাতে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়। এরা এখন পর্যন্ত মশা মারার কার্যকর ওষুধ আনতে পারেনি। কিন্তু মশা মারার নাটক করে বেড়াচ্ছেন। এখানে সিনেমার শিল্পীদের নামিয়ে দিয়েছে। ঝাড়ু হাতে ছবি তোলার পাঁয়তারা চলছে, যা দেখলে নিজের গা ঘিন ঘিন করে।
‘ডেঙ্গু সম্পূর্ণ রকম নিয়ন্ত্রণে আছে’ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে মান্না বলেন, এরকম অকালকুষ্মাণ্ড, বিস্ময়কর মানুষ আগে দেখিনি। কাজ করতে পারে না, শুধু কথা বলেন। এরকম যারা ক্ষমতায় আছেন, তাদের হাতে দেশতো নিরাপদ নয়, আমি আপনিও নিরাপদ নই।
‘কার্যকর ওষুধ কেনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দিতে হয়েছে। বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, দলেরও বিশেষ দায়িত্বে আছেন নাম বলতে চাই না আমার বন্ধু মানুষ তিনি বলেছেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) ওখান থেকে প্রতিদিন নাকি নজর রাখছেন ডেঙ্গুর কি পরিস্থিতি। আমি অবাক হয়ে যাই লন্ডন থেকে এডিস মশা কোথায় ডিম পাড়ে সেটা কি দেখা যায় নাকি? আমার খুবই দুঃখ লাগে যে ওষুধ কেনার জন্য কি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ লাগে? তাহলে প্রধানমন্ত্রী থাকলেইতো হয়, বাকি এই ‘সঙ’ গুলোর দরকার কী?
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিমঞ্চের আহ্বায়ক ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, সাবেক সচিব মোফাজ্জল করিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, কল্যাণ পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহিদুর রহমান তামান্না, যুগ্ম-মহাসচিব রাশেদ ফেরদৌস প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৯
এমএইচ/এএ