সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিল নিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলের সভাপতি পদে পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা নেই।
‘আর দলের অন্য পদগুলো নিয়ে নেত্রী নিজেই টিম সাজান। তিনি যেটা ভালো মনে করেন সেটাই করেন। যেকোনো পদেই পরিবর্তন হতে পারে- নেত্রী যদি মনে করেন দলের স্বার্থে পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন তাহলে তাই হবে। তিনি যা-ই করবেন সবাই একবাক্যে গ্রহণ করবেন। এখানে দ্বিধা দ্বন্দের কোনো অবকাশ থাকবে না। ’
তিনি বলেন, এ নিয়ে কোনো ক্ষোভ কিংবা কারো কোনো দুঃখ-বেদনা প্রকাশ থাকবে না। এ পর্যন্ত হয়নি, আমি বিশ্বাস করি এবারও হবে না।
নতুন কমিটিতে বাদ পড়া সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা আসলে মন্ত্রিসভার মতই, মন্ত্রিসভা যেমন প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারের বিষয়, এখানেও (দল) পারফর্মেন্সের বিষয় রয়েছে।
‘যাদের পারফর্মেন্স পুওর তাদের তো অহেতুক বড় বড় দায়িত্বে রেখে লাভ নেই। ফলে যাদের পারফর্মেন্স পুওর তাদের দায়িত্বে পরিবর্তন হতে পারে। তবে এখানে কেউ বাদ যাবে না। দায়িত্বে পরিবর্তন আনা হবে। ’
দায়িত্ব পালনে কোনো অপূর্ণতা রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখুন, মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো একটা ট্র্যাকে চলে আসছে। দলেও একটা সিস্টেম গ্রো করেছি। বিভাগীয় দায়িত্বে আমাদের নেতারা রয়েছেন। কাজেই কোনো অসুবিধা তো হয়নি। আমি গত দুই-সপ্তাহ ধরে ঢাকার বাইরেই থাকছি। এরপরও বিকেলে এসে ফাইল দেখেছি। আমার কোনো ফাইল আজকেরটা আগামীদিনের জন্য জমা থাকে না।
সাধারণ সম্পাদক পদে নিজের দায়িত্ব সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘নেত্রী চাইলে দলের দায়িত্ব পালন করবো। দায়িত্ব পালনে আমি কোনো চাপের মুখে নেই। আমার কোনো অনীহাও নেই। আমি শারীরিকভাবেও সুস্থ আছি। তবে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যদি বলেন আমার স্থানে নতুন কাউকে আনতে চান, সেখানে আমি স্বাগত জানাই। ’
আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলনের প্রস্তুতি ভালো। আমরা জেলাপর্যায়ে অনেকগুলো কমিটির কাজ শেষ করেছি। আরো কতগুলো বাকি রয়েছে, আমাদের সর্বশেষ সম্মেলন হবে জাতীয় কাউন্সিলের আগে ১৮ ডিসেম্বর ঝালকাঠি জেলায়।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুইটা সম্মেলন আছে খুলনায়। আমি তো প্রতিদিন যাচ্ছি। এরপর ১১ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ, ১৩ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ। এছাড়া কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, সাতক্ষীরায় সম্মেলন হবে এরমধ্যে। এটা চলমান প্রক্রিয়া ২৫/৩০ টা হয়ে যাবে। বাকিগুলো মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়নি। কারণ সম্মেলন হলে প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি ডিক্লিয়ার করা হয়। পরবর্তীতে ফুল কমিটি করা হয়।
নারী নেতৃত্বের কোটা পূরণ হয়নি। এখনও প্রায় ৩০ শতাংশ কোটা বাকি রয়েছে সে বিষয়ে কী ভাবছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০২০ সাল পর্যন্ত সময় আছে। আমাদের মাথায় আছে। নারী নেতৃত্ব ও প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর ব্যাপারে আমরা সক্রিয় চিন্তা করছি।
‘মন্ত্রিসভায় পরিবর্তনের এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রিসভার পরিবর্তনের বিষয় প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তবে এ মাসে পরিবর্তনের সম্ভবনা কম। সম্মেলনের আগে হচ্ছে না। ক্যাবিনেটে তো রিশাপল (রদবদল) এটা তো হয়ই। প্রধানমন্ত্রী এটি ঠিক করবেন। ’
তিনি বলেন, আমি একজন মন্ত্রী হয়ে আরেকজন মন্ত্রীকে নন-পারফর্মার বলি কী করে! আমার কাজগুলো আমার নখদর্পণে। এতেদিন কাজ করছি এখানে বিষয়গুলো আমার মুখস্ত।
‘আমি নোট দেখে বক্তব্য দিই না। মন্ত্রণালয় ও দলিলের সব চিত্র আমার জানা আছে। ইউনিয়ন-উপজেলা পর্যায়ের নেতাদেরও আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গেও কথা বলি, নির্দেশনা দিই,’ যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
*** শাজাহান খানের বক্তব্যে সরকার বিপদে পরবে না: কাদের
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯/আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা
জিসিজি/এমএ