সোমবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিপিবির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সিপিবির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম বিবৃতিতে বলেন, ভারতের পার্লামেন্টে কী আইন পাস হবে সেটি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
নেতারা বলেন, কেবল ধর্মীয় পরিচয়ের ওপর ভিত্তি করে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া এবং মুসলমান জনগোষ্ঠীকে এই বিধানের আওতার বাইরে রাখায় আইনটি সাম্প্রদায়িকতার দোষে দুষ্ট। এর মাধ্যমে ভারতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে। ফলে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর হামলা-নির্যাতন-বৈষম্যের ঘটনা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে।
ভারতের এই নাগরিকত্ব আইন ব্রিটিশ উপনিবেশের গর্ভে জন্ম নেওয়া পরিত্যক্ত মুসলিম লীগের ‘দ্বি-জাতিতত্ত্বের হিন্দুত্ববাদীর’ নব সংস্করণ। এই বিলের ফলে ভারত ক্রমান্বয়ে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এ আইন ভারতের সংবিধানে বর্ণিত ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতিগত বৈচিত্র্য সমুন্নত রাখার নীতির পরিপন্থি। এ কারণেই ভারতের কমিউনিস্ট, বামপন্থী, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল, শক্তি ও ব্যক্তি এ আইন বাতিলের দাবিতে তীব্র গণআন্দোলন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
আরকেআর/টিএ