রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের পেছনের গলিতে দলীয় এ কর্মসূচি পালন করতে জেলা ও মহানগর বিএনপির গুটি কয়েক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে তার কয়েকগুন বেশি পুলিশ সদস্যের উপস্থিতি ছিল সেখানে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা বিএনপি ও তাদের সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিলিয়ে মাত্র ২০-২৫ জনের একটি বিচ্ছিন্ন গ্রুপ বিকেলে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে আসেন । কর্মসূচিতে এসে শুধু জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাত নেতাকর্মী কিছুক্ষণ দাঁড়ালেও পরে আর কয়েকজন আসতেই পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়। বিশাল কমিটির আট ভাগের এক ভাগ নেতাকর্মীও উপস্থিত হয়নি দলীয় এ কর্মসূচিতে। এসময় রাজপথ থেকে বিচ্ছিন্ন হবার পেছনে জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দায়ী করেন কর্মীরা।
মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাধারন সম্পাদক এ টি এম কামাল, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ মাত্র ২৫ জন। তারা এসে ব্যানার নিয়ে দাঁড়ানোর পর সেখানে পুলিশ এসে ব্যানার কেড়ে নিয়ে তাদেরকে সরিয়ে দেয়। ১৫১ জনের কমিটির ছয় ভাগের এক ভাগ নেতাকর্মী দলের সর্বোচ্চ প্রধানের মুক্তির জন্য কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছিলেন।
উপস্থিত সাধারণ মানুষ দলীয় নেতাকর্মীদের সামনেই মন্তব্য করেন, নিজেদের বিক্ষোভ মিছিলতো দূরের কথা সামান্য প্রতিবাদ সমাবেশও পালিতে হয়নি তাদের এখানে। দলের প্রধানের জন্যই রাজপথে তারা নামতে পারেনা, সাধারন মানুষের জন্য আর কি নামবে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) আব্দুল হাই জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করতে কয়েকজন এসেছিল কিন্তু নিজেরাই পরে নেতাকর্মী না পেয়ে লজ্জায় চলে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
এবি