শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, এখন যে অবস্থা চলছে, যে ধরনের শাসন ব্যবস্থা দেশে চলছে সেটা সংবিধানের কথা মতো না।
‘কে ভোগ করতে দিচ্ছে না? এটা আপনারা নিজের বিবেকের কাছে জিজ্ঞাসা করেন, সবাই জানেন!’
সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নির্বাচন করে যেন তারা মজা পেয়ে গেছেন। যেকোনো কিছুকে নির্বাচন বলা হচ্ছে। এরপর ভোট না দিয়েই মানুষকে বলা যায় যে, এই তো বৈধতা পেয়েছি, নির্বাচিত অমুক, নির্বাচিত তমুক। দেশের মানুষ তো অন্ধ না, তাদের বিচার করার একটা ক্ষমতা আছে। আমি সবার কাছে বলি, যে কয়েকটা অনুষ্ঠানটাকে নির্বাচন বলে চালানো হয়েছে সেটা কী আমরা নির্বাচন হিসেবে মেনে নিতে পারি?’
ড. কামাল বলেন, আমি বলবো যে, যারা সরকারে অথবা সরকারের সমর্থিত রয়েছেন তারা যদি এই দাবিটা করেন, তারা মনে করবেন না যে, দেশের মানুষ অন্ধ, তাদের বিচার করার ক্ষমতা নাই। এত ষড়যন্ত্র করে জনগণকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার পরও আমরা স্বাধীনতাকে এখনো ধরে রেখেছি।
‘সবাই বলছে স্বাধীন দেশে যে ধরনের সরকার, যে ধরনের শাসন ব্যবস্থা হওয়ার কথা সেটা আমরা পাচ্ছি না। এটা নিয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই। কেউ অন্ধ না হলে কেউ বুদ্ধিহীন না থাকলে দাবি করবে না যে, এদেশে গণতন্ত্র কার্যকরভাবে আমরা ভোগ করছি। সংবিধানের চার মূলনীতির একটা মূলনীতি হচ্ছে গণতন্ত্র । ’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, কালো টাকা দিয়ে যদি কেউ মনে করে আমাদের মাথা কিনে নিয়েছে আমি মনে করি যে, তারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করে। বঙ্গবন্ধুসহ তার সহকর্মী নেতৃবৃন্দ যারা ছিলেন তাদের সবার মূল্যায়ন ছিল যে, আমাদের মাথা কেউ কিনতে পারবে না, পারবে না। কোটি কোটি, হাজার কোটি টাকা দিয়েও আমাদের বাঙালির মাথা কেনা যাবে না।
সরকারের প্রতি উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা নির্বাচন দেন। প্রথমে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে, কমিশন হতে হবে সৎ ও স্বচ্ছ। আমাদের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর হতে যাচ্ছে। এবার আসুন-জনগণকে সত্যিকার অর্থে ক্ষমতার মালিক হিসেবে দেখতে চাই
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
এমএইচ/এমএ