রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক ও জেলা কাজী সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন দিদার (৪৯)।
মামলার এজাহারে নিজাম উদ্দিন উল্লেখ করেন, দুপুরে আনোয়ার ও নুরুল আমার অফিসে ভিয়েতনামে ভ্রমণ ভিসায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে আসেন। ভ্রমণ ভিসায় কোনো প্রকার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হয় না তাদের জানালে আনোয়ার আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ হুমকি দিয়ে বের হয়ে যান।
এরপর তারা দলবদ্ধ হয়ে এসে পুনরায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে আসেন। আমি অপারগতা জানালে মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে আসামিরা আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করেন। বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসককে জানোনোর চেষ্টা করলে মহিউদ্দিন আমার ল্যান্ডফোনের লাইন ছিঁড়ে ফেলে এবং সেটটি ছুঁড়ে ফেলে দেন। মোবাইল ফোনে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাতে চাইলেও তারা আমার ফোন ছিনিয়ে নেন। এরপর মহিউদ্দিন ও আনোয়ার আমার টেবিলের উপর চেয়ার দিয়ে আঘাত করে গ্লাসসহ চারটি চেয়ার ভেঙে ফেলেন।
পরে আমার চিৎকারে অফিসের লোকজনসহ স্থানীয় জনসাধারণ এগিয়ে আসেন। এসময় নুরুল পালিয়ে যান। স্থানীয়দের সহায়তায় আমি মহিউদ্দিনসহ চারজনকে আটক করে পুলিশে খবর দেই।
হামলায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় নিজাম উদ্দিন উল্লেখ করেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় মহিউদ্দিন, আনোয়ার, আশ্রাফ ও জসিমকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
এসএইচডি/আরবি/