ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সভায় হামলা-ভাঙচুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সভায় হামলা-ভাঙচুর ভাঙচুর করা চেয়ার ও গাড়ি। ছবি: বাংলানিউজ

চাঁদপুর: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় হামলা চালিয়েছে যুবলীগের একটি গ্রুপ। 

এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, পুলিশ সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে দু’টি প্রাইভেটগাড়ি।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের উপজেলা কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর ও অবমাননা করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।  

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা যুবলীগের একটি মিছিল বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের র‌্যালি নিয়ে যাওয়ার পথে আওয়ামী লীগের সভাস্থলে প্রবেশ করে হামলা চালায়।  

এসময় ছবি তুলতে গিয়ে আ. মমিন গাজী নামে এক সাংবাদিক হামলার শিকার হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার সময় সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুর আলম, দিদার হোসেন, কনস্টেবল রাশেদ আহত হয়।
 
এছাড়াও যুবলীগের লাঠি সোটার আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান আহমেদ রিপন, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন ইরান, আওয়ামী লীগ নেতা  নুর হোসেন, মোবাশ্বেরা বেগম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ইলিয়াছ বেগ, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সভা চলাকালে যুবলীগের নামধারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। তারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ আওয়ামী লীগ কার্যালয় ব্যাপক ভাঙচুর করে।  

সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ন্যাক্কারজনক।  

উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠানে বর্তমান এমপি সফিকুর রহমান, উপজেলা যুবলীগসহ কাউকেই দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাছাড়া র‌্যালি নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের মিছিলে ইট মারায় ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে নেতাকর্মীরা সেখানে প্রবেশ করে।  

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রকিব বাংলানিউজকে বলেন, যুবলীগের মিছিলটি পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে থাকলেও তারা বেষ্টনী ভেদ করে হামলা চালায়। পুলিশ হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিউলী হরি বাংলানিউজকে বলেন, আজকের আনন্দময় দিনে এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।