ব্যানার-ফেস্টুন ও মিছিল-মিটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন পদপ্রত্যাশীরা। রুটিন করে দলীয় টেন্টে বেড়েছে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি।
শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে হল সম্মেলন। এতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এবারের সম্মেলনে ছাত্রদের ১১টি ও ছাত্রীদের ৬টি আবাসিক হল নেতৃত্ব চূড়ান্ত করা হবে।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ও ২২ নভেম্বর দুই ভাগে ভাগ করে ছাত্রদের ১১টি হলের সম্মেলন করে তৎকালীন রানা-বিপ্লব কমিটি। পরে বিভিন্ন সময়ে ৯টি হলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঝুলিয়ে রাখা হয় শের-ই-বাংলা ও শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখার কমিটি। এরপর থেকে আর হল কমিটি হয়নি।
ছাত্রলীগের নেতারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে সৎ, যোগ্য, শিক্ষার্থীবান্ধব প্রার্থীদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা হবে। সংগঠনের জন্য নিবেদিত ও সব কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারীরা অগ্রাধিকার পাবে। হল ছাত্রলীগ সুসংগঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের এ বৃহত্তম শাখাটি আরও গতিশীল হবে।
শহীদ হবিবুর রহমান হলের সভাপতি পদপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে হল ইউনিট। হল ইউনিট যত সক্রিয় হবে রাজনীতি তত গতিশীল হবে। আসন্ন হল সম্মেলন নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মাদার বখ্শ হলের সভাপতি পদপ্রার্থী হামিম আল সাফায়াত বলেন, দীর্ঘদিন পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে হলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের পদচারণা, শোডাউন, ব্যানার-ফেস্টুন, মিছিলসহ সব মিলিয়ে একটি জাঁকজমকপূর্ণ সম্মেলন হবে বলে আশা করছি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, হল সম্মেলন ঘিরে ক্যাম্পাসে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। হল ইউনিটগুলো আরও সুসংগঠিত করে রাবি ছাত্রলীগ আরও গতিশীল হবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া যারা নেতৃত্বের জায়গা থেকে সৎ, যোগ্য, দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করেছে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্লিন ইমেজ রয়েছে তাদের মধ্য থেকে নেতৃত্বে বেছে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯
এসএইচ