ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদাকে মুক্তি দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
খালেদাকে মুক্তি দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের

গোপালগঞ্জ: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার একমাত্র এখতিয়ার আদালতের। তার মামলাটি রাজনৈতিক নয়, দুর্নীতির। মামলা। রাজনৈতিক মামলা হলে সরকার তার মুক্তি নিয়ে বিবেচনা করতে পারতো। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি (মির্জা ফকরুল) বলেছেন- 'সরকার জেলের মধ্যে খালেদা জিয়াকে মেরে ফেলতে চায় কষ্ট দিয়ে'।

সে ধরনের ইচ্ছা শেখ হাসিনার নেই। আমরা এই প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। খালেদা জিয়াকে জেলের মধ্যে মেরে ফেলবো- এ রাজনীতি বঙ্গবন্ধু করে নাই, শেখ হাসিনাও করে না।  

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে দলের লোকেরা বলে একটা আর চিকিৎসকের বলেন আরেকটা। চিকিৎসকরা বলেন, তার স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর দলের লোকেরা তাকে অসুস্থ থেকে আরও অসুস্থ বানিয়ে যতটা না চিকিৎসার জন্য ভাবছে তার চেয়ে বেশি রাজনীতি করছে।

খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তাকে (খালেদা) প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার জন্য পরিবার থেকে বিভিন্ন ভাবে আবেদন করা হয়েছে। যারা এ আবেদন করেন, টেলিভিশনের পর্দায় আবেদন করেন। আমি সকালেও খবর নিয়েছি, তারা লিখিতভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্যারোলের জন্য আবেদন করেননি। এখন লিখিত আবেদন করলেও এ আবেদন কারণসহ যুক্তিসংগত হতে হবে। যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা সরকার বিবেচনা করতে পারে না।  

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে কি আওয়ামী লীগ জেলে নিয়েছে? তাকে কি শেখ হাসিনা জেলে নিয়েছেন? তাকে জেলে নিয়েছে আদালত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় তিনি বিচারাধীন রয়েছেন। তার মামলাটি রাজনৈতিক মামলা নয়, দুর্নীতির মামলা। রাজনৈতিক মামলা হলে সরকার তার মুক্তি নিয়ে বিবেচনা করতে পারতো। দুর্নীতি মামলায় তাকে মুক্তি দেওয়ার একমাত্র এখতিয়ার রয়েছে আদালতের।
 
সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকের ছেলে-মেয়েরা শিক্ষিত হলে, বড় হলে, প্রধানমন্ত্রী হলে টাকার পাহাড় বানায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে আইসিটি বিপ্লব করেছে, কোনো হওয়া ভবন বানায়নি।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুর কাদের আরো বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় প্রত্যেক পরিবারের একজন যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে, এটা আমাদের নেত্রীর অঙ্গীকার। ধৈর্য্য ধরুন, বেকার যুবকেদের চাকরির ব্যবস্থা হবে। টুঙ্গিপাড়ার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গেছে, গ্যাসও আসবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।  

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের হ্যালিপ্যাড চত্বরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংগঠনিক মির্জা আজম এমপি, এস এম কামাল হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খায়ের প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী ও সভাপতিত্ব করেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইলিয়াস হোসেন।
 
পরে দ্বিতীয় অধিবেশনে আবুল বাশার খায়েরকে সভাপতি ও বাবুল শেখকে সাধারণ সম্পাদক টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং শেখ সাইফুল ইসলামকে সভাপতি ও ফোরকান বিশ্বাসকে সাধারন সম্পাদক করে পৌর আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।