মঙ্গলাবর (২৫ ফেব্রুয়ারি) পিলখানা হত্যাকাণ্ডের একাদশবার্ষিকীতে বনানী সেনা কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে তারা বলেছে, এই বিচার সুষ্ঠু হয়নি।
‘আমরাও মনে করি, এই বিচার সুষ্ঠু হয়নি। আমরা ক্ষমতা যাওয়ার সুযোগ পেলে অবশ্যই এর নিরপেক্ষ তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের উদ্যোগ নেবো। ’
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) বিদ্রোহ দেখা দেয়। বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহী জওয়ানদের হাতে মারা যান ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা। রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহে বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান।
বিডিআর বিদ্রোহকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক’ অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দিতেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। আজকে আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন, গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।
এর আগে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের নেতৃবৃন্দ স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পন করেন। তারা নিহত সেনা কর্মকর্তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
এ সময় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, অবসরপ্রাপ্ত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. শাহজাহান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মিজানুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সারোয়ার হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর কোহিনুর হোসেন নূর, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীমুর, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এমএইচ/এমএ