সোমবার (২ মার্চ) বিকেলে গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমেদ এক বিজ্ঞপ্তিতে দলের চারজন নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার ও সাংগঠনিক সব ধরনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর সন্ধ্যায় ওই চার নেতা তাদের প্রতিবাদ পাঠান।
প্রতিবাদপত্রে তারা উল্লেখ করেন, গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারি গণফোরামে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও অবাঞ্ছিত জনৈক মোস্তাক আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি পত্রের মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা ও গঠনতন্ত্রের ৪৩ (কর্মকর্তা অপসারণ) ধারা অমান্য ও অবজ্ঞা করে রাজনৈতিক চরিত্র হননের উদ্দেশ্যে ও দলীয় ঐক্য বিনষ্ট করার হীন স্বার্থে চারজন কেন্দ্রীয় নেতার নামে অবৈধ, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে- গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিল পরবর্তীকালে দীর্ঘ সাত মাস দলের কোনো সভা হয়নি। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় কমিটির সভা আহ্বান করার জন্য ৫৯ জন কেন্দ্রীয় নেতার স্বাক্ষরে দলের সভাপতি, দুই নির্বাহী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর ২১ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে তিন দফা দাবিতে একটি চিঠি পাঠানো হয়।
প্রতিবাদপত্রে তারা আরও বলেন, দলের সাধারণ সম্পাদককে মৌখিক ও একাধিকবার লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির সভা আহ্বান করার অনুরোধ করলেও তিনি দলের অফিসে হাজির না হয়ে মাসের পর মাস বিদেশে অবস্থান করে অফিসের বাইরে উপদলীয় কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন।
গত ২৮ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া ও যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক আহমেদকে উপদলীয় কোন্দল, দায়িত্বে অবহেলা ও দলের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত না থাকার কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই অব্যাহতির পর ১৮ জন সম্পাদককে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও দলে অবাঞ্ছিত জনৈক মোস্তাক আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়, যা গঠনতন্ত্রের ৪৩ ধারার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একমাত্র কেন্দ্রীয় কমিটির সভা আত্মপক্ষ সমর্থনের পর দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের সম্মতিক্রমে কোনো কর্মকর্তাকে অব্যাহতি কিংবা বহিষ্কার করতে পারে। স্বাক্ষরকারী ব্যক্তি দলের মুখপাত্র কিংবা দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ নন।
প্রতিবাদপত্রে স্বাক্ষর করেছেন বহিষ্কৃত চার নেতা অ্যাডভোকেট মো. হেলাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক, লতিফুল বারী হামিম, সাংগঠনিক সম্পাদক, খান সিদ্দিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক ও আবুল হাসিব চৌধুরী, প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২০
এমএইচ/এএ