নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার (৪ মার্চ) রাতে রাজধানী ধানমন্ডির ম্যারিয়ট কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ প্রশ্ন করেন।
ব্যবসায়ী নেতা শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ আশা হারিয়ে ফেলে।
‘কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতিকে আবার সংগঠিত করেছেন, আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছেন। পদ্মাসেতুর অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক যে দুর্নীতির গন্ধ পেয়েছিল সেটাও ছিল একটা ষড়যন্ত্র। আমি তাদের (বিশ্বব্যাংক) বলতে চাই, কথায় কথায় দুর্নীতি দেখেন, মেট্রোরেলের পিলার দেখেন না। ’
নির্বাচনী প্রচারণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা-১০ আসনে আমরা ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। আমরা সব প্রার্থী সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ আসনের উপনির্বাচন থেকে রাজনীতিকে আরো জনবান্ধব করে তোলার। রাতের বেলা অমুক ভাই, তমুক ভাই, ভোট চাই বলে মাইকিং করাটা একটা খারাপ সংস্কৃতির জন্ম হয়েছে। এখানে হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে অনেকেই কষ্ট পায় কিন্তু কিছু বলতে পারে না। শিক্ষার্থীরা মনোযোগ দিয়ে মাইকিং এর কারণে পড়াশোনা করতে পারে না। শব্দ দূষণের কারণে মানুষের সমস্যা হয়। মানুষের সমস্যা তৈরি করে কিসের রাজনীতি। ঢাকা ১০ আসন বাংলাদেশের প্রতিটা আসনকে দিক-নির্দেশনা দেবে যে ঐক্যমতের ভিত্তিতে এসব করা সম্ভব।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু হচ্ছে। এর মধ্যে যেমন সততা এবং অহংকার আছে, জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সক্ষমতাও আছে, তেমনি জাতি আত্মবিশ্বাসীও হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। পরিচালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা।
সভায় অন্যদের মধ্যে বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল হাজারী, বিচারপতি এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিন, ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকৎ হোসেন মিলন, ধানমন্ডি ঈদগাহ মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আতিকুল হাবিবসহ ধানমন্ডির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিতি ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৯
আরকেআর/এমএ