মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডির কেয়ারী প্লাজার সামনে থেকে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণে সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রবিউল আলম বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ইসি যদি নির্বাচন স্থগিত করে সেটা আপনি কীভাবে দেখবেন এমন প্রশ্নের জবাবে বরিউল বলেন, ইসি যদি নির্বাচন স্থগিত করে তাহলে জনগণ আহত হবে। নির্বাচনের মাত্র তিন দিন বাকি। এর মধ্যে যদি করোনা ভাইরাসে জনজীবন ঝুঁকিতে চলে যায়। জীবনের চেয়ে কোনো কিছু বড় নয়, তখন বিষয়টি দেখা যেতে পারে।
তিনি বলেন, স্কুল-কলেজের ব্যাপার আর নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ভিন্ন রয়েছে। ১০-১৫ দিন শিক্ষার্থীরা স্কুলে না গেলে সমস্যা হবে না। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে আপনার কোনো শঙ্কা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ধানের শীষের প্রার্থী রবি বলেন, আশঙ্কা পুরো ভোট ব্যবস্থার ওপরে রয়েছে। সুষ্ঠু ভোট নিয়ে জনগণের আশঙ্কা রয়েছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিও শঙ্কায় রয়েছে। আমরা বারবার বলে আসছি বর্তমান সরকার ও ইসির অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না, হবেও না। এখন মানুষ সেটা দেখছে, মানুষের কাছে প্রমাণিত হয়েছে। মানুষ ভোট বিমুখ হয়েছে।
বরিউল অভিযোগ করে বলেন ১৬, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে সোমবার (১৬ মার্চ) আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার দুই কর্মীর ওপর হামলা করে আহত করেছেন। আমার দুই কর্মী শাহাবুদ্দিন মোস্তফাকে মারপিট করে হাত ভেঙে দিয়েছে। আমি ইসি ও সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বলেছে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। সকালে ধানমন্ডি ২৮-এ নজরুল ইনস্টিটিউটের পাশে ছাত্রদলের একটা গ্রুপ ভোটার স্লিপ বিতরণ করতে গেলে সেখানে তাদের বাধা দেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা। এক পর্যায়ে তাদের মারধর করে ভোটার স্লিপ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ধানমন্ডি থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাবিরুল হায়দার চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসাইন সৈকত, ধানমন্ডি থানা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু কায়সার, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. মনিরুজ্জামান মনিরসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২০
এমএইচ/আরআইএস/