মেনন বলেন, বর্তমান ব্যাংকিং ব্যবস্থা ভঙ্গুর অবস্থায় পৌঁছেছে, তাতে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কঠোর তদারকি ও নমনীয় ব্যবস্থা প্রয়োজন হবে।
রোববার (৫) এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী প্যাকেজ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে এ কথা বলেন রাশেদ খান মেনন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, দেশের কর্মরত শ্রমিকদের ৮৭ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে সেখানে তাদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে আলাদা প্রণোদনা প্যাকেজ ও তার কর্মকৌশল ঘোষণা করা প্রয়োজন। ভারত সে পদ অনুসরণ করছে।
অন্যদিকে, পোল্ট্রি খামারি, কৃষিভিত্তিক শিল্পকে প্রণোদনা দেওয়া হলেও মূল কৃষিখাত-এর বাইরে থেকে যাচ্ছে। ফলে এ দুর্যোগ সময়ে যখন খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ মূল বিষয় হয়ে দাঁড়াবে সেখানে কৃষকের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
রাশেদ খান মেনন বলেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি দেশের দরিদ্রের সংখ্যা বাড়াবে। অবস্থিত বৈষম্যকেও নিদারুনভাবে বাড়িয়ে তুলবে। সামাজিক নিরাপত্তা পরিধি বাড়ানো হলেও সেটা এক্ষেত্রে যথেষ্ট হবে না। সে বিষয়েও কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। মেনন প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় সব রাজনৈতিক দল ও জনপ্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার ওয়ার্কার্স পার্টির আহ্বান পুুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
এসকে/ওএইচ/