সোমবার (১৩ এপ্রিল) ১৪ দলের এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরে থাকতে হবে।
তখন সরকার বা প্রশাসনের পক্ষে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। দেশের জনগণের স্বার্থে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তারাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
এতে বলা হয়, করোনা মোকাবিলায় সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার অর্থ বর্তমান বিপর্যয়কে আরও ঘনীভূত করা। ইতোমধ্যে আমরা গার্মেন্টস খোলা-বন্ধ নিয়ে এক অচল অবস্থা লক্ষ্য করেছি। বিদেশফেরতদের তাৎক্ষণিকভাবে ঘরে বা প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করায়ও গাফিলতি লক্ষ্য করেছি। এসব বিষয় কঠোরভাবে সমন্বয় করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব ও ডিজিসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাময়িক বিশ্রাম ছাড়া সব সময় নিজ অফিসে অবস্থান করে নিবিড় সমন্বয় সাধন করতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যেসব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের অবিলম্বে চিকিৎসাকেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী কোনো ভালো হোটেলে রাখা ও খাওয়া-দাওয়ার সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা করতে হবে। জরুরিভাবে যানবাহন সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ মুহূর্তে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অহেতুক। পরিস্থিতি জটিল করবে।
বিবৃতিতে ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, কিছু দুর্নীতিবাজ ত্রাণসামগ্রী আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে। এসব আত্মসাৎকারী দেশ ও জাতির শত্রু। তাদের কোনো দল নেই। ধর্ম নেই। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২০
এসকে/টিএ