শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
কাদের বলেন, আজকের এই দুর্যোগে জাতি হিসেবে আমাদের বিভক্তি কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। এসময় বিভাজনের অনিবার্য পরিণতি ভাইরাসের ভয়ঙ্কর রূপ। আমরা জেনেশুনে যেন এরকম মারাত্মক ভুলের ফাঁদে পা না দেই।
তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে এ লড়াই আমাদের সবার বাঁচার লড়াই। এ লড়াইয়ে নিজে বাঁচতে হবে এবং অপরকেও বাঁচাতে হবে। পরস্পর পরস্পরকে সুরক্ষা না দিলে আমাদের নিজেদের সুরক্ষাই হুমকির মুখে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব করোনা মোকাবিলায় আমাদের ঘরে ঘরে সচেতনতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। আমরা যদি সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, ঘরে থাকি ইনশাআল্লাহ তাহলে জয় হবেই।
‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী ইউনিয়ন পর্যন্ত ত্রাণ কমিটি গঠন করে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ত্রাণ বিতরণে কোনোরকম অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা ইতোমধ্যে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন। দলীয় পরিচয় কেউ ত্রাণ নিয়ে নয়ছয় করলে ছাড় দেওয়া হবে না।
‘করোনা সংক্রমণে বিশ্বের ২১০টিদেশ আক্রান্ত এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৪তম। তুলনামূলকভাবে আমরা ইউরোপের দেশগুলোর চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছি। ’
তিনি বলেন, এই সংকটকালে যারা ফ্রন্টলাইনে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্বপালন করছেন। বিশেষ করে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা র্যাব-পুলিশ, সেনাবাহিনী, গণমাধ্যম ও জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনায় মৃত্যুবরণকারী ডাক্তার মঈনের মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডক্টর মঈনের মৃত্যু নিয়ে অহেতুক দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন। আমি মির্জা আলমগীরকে সবিনয় জিজ্ঞেস করতে চাই কে সারা পৃথিবী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এখানে ধনী-দরিদ্র, বিদ্যমান গরিব চিকিৎসক রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী কেউই রেহাই পাচ্ছেন না।
মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন সরকার গঠন করা হয়। সেদিনই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়। আজকের সারাবিশ্বব্যাপী মহা দুর্যোগ করোনা ভাইরাসের কারণে দিনটি আনুষ্ঠানিকতায় পালন করতে না পারলেও আমাদের চেতনায় বিশ্বাসে এ ঐতিহাসিক দিনটির তাৎপর্য চিরভাস্বর হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২০
এসকে/এএ