ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার (২৬ মে) সকালে এক বিবৃতিতে ঐক্যফ্রন্ট নেতার বলেন, নিজের প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত ‘জি র্যাপিড ডট ব্লট’ কিট দিয়ে পরীক্ষায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আমরা আশা করি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অসুস্থতা মৃদু উপসর্গের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। কিন্তু এই রোগ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সেটা আমরা সারা পৃথিবীতে এবং এই দেশেও দেখছি। তার বয়স এবং অন্যান্য শারীরিক জটিলতা বিবেচনায় নিলে তিনি নিশ্চিতভাবেই খুবই ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর হিসেবেই চিহ্নিত হবেন।
তারা বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নানা রকম অনিয়ম শুরু থেকে দেখা যাচ্ছে যা এখনো চলছে। আমরা আশা করি তার রোগ জটিল হবে না, কিন্তু তেমন পরিস্থিতি হলে যেন এক মুহূর্ত সময়ও নষ্ট না হয় তাকে চিকিৎসা দিতে। সেটা নিশ্চিত করতে তার জন্য দেশের সর্বোচ্চ মানের হাসপাতালে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা ব্যবস্থা আগে থেকেই প্রস্তুত রাখতে হবে।
ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেন, গত বেশ কিছুদিন ধরে করোনা শনাক্তকরণ কিটের জন্য অনেক বেশি কাজ করে তিনি সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়েছেন, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, সরকার পদে পদে বাধা সৃষ্টি করে এখনো কিটটি বাজারে আসতে দেয়নি। দেশে সামাজিকভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ার এই সময়ে সরকারি টেস্টের চরম অপ্রতুলতার মধ্যে এই কিট জনগণকে খুবই সাহায্য করতে পারতো।
কিটের পরীক্ষার ফলাফল অতি দ্রুত প্রকাশ করে সেই ব্যাপারে অনতিবিলম্বে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতি দাতারা হলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গনফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০
এমএইচ/এইচএডি/