ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঈদের দিনেও বিষোদগারের রাজনীতি থেকে বের হয়নি বিএনপি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২০
ঈদের দিনেও বিষোদগারের রাজনীতি থেকে বের হয়নি বিএনপি

ঢাকা: ঈদের দিনেও বিষোদগারের রাজনীতি থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। 

মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ’র রজতজয়ন্তী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।  

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের এই বৈশ্বিক মহামারি শুধু বাংলাদেশে নয়, এর কারণে উন্নত দেশগুলো আজ নাস্তানাবুদ পরিস্থিতির শিকার।

সেখানে মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। বেলজিয়ামের মতো দেশে মৃত্যুর হার ১৫ শতাংশ। ব্রিটেনে ১৪, আমেরিকায় ৬, ভারতে ৩ দশমিক ২, পাকিস্তানে ২ এর বেশি আর বাংলাদেশে এ হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ। স্বাস্থ্যব্যবস্থা যদি খুবই খারাপ হতো, তাহলে মৃত্যুর হার অন্য দেশের মতো আরো বেশিই হতো।  

‘মহামারি মোকাবিলায় ঐক্য দরকার’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ মহামারির জন্য বিশ্বের কোনো দেশই প্রস্তুত ছিল না। সব দেশে মহামারি মোকাবিলায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা চলছে। অন্য দেশে বিরোধীদল পরামর্শ দিচ্ছে, কিন্তু অন্ধের মতো সমালোচনা করছে না। ’
 
‘কিন্তু দুঃখের বিষয়, ঈদের দিনেও বিএনপি সমালোচনা আর বিদ্বেষের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি', বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।  

ড. হাছান বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঈদের নামাজ পড়ে তাদের ভাষায় ‘জিয়াউর রহমানের মাজারে’ দোয়া করে সরকারের প্রতি বিষোদগার করেছেন। আমি মির্জা ফখরুলসহ যারা এ ধরনের সমালোচনা করছেন, তাদের বলবো- এখন বিষোদগারের সময় নয়, আসুন আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করি।  

এসময় ২৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে ডিআরইউ’র সব সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়ে করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের জন্য পরীক্ষা বুথ স্থাপন, সুরক্ষাসামগ্রী সংগ্রহ ও বিতরণসহ নানা পদক্ষেপের প্রশংসা ও সংগঠনটির মঙ্গল কামনা করেন মন্ত্রী।  

‘আমি সব সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে ছিলাম, আছি ও থাকবো’ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ১১ বছরে দেশের গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক মাধ্যম তিনগুণ হওয়ার পাশাপাশি কয়েক হাজার অনলাইন সংবাদপোর্টাল হয়েছে, যেগুলোর নিবন্ধন বিষয়ে দ্রুত কাজ চলছে।  

সহসাই অনলাইন সংবাদ পোর্টালের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার কথা জানিয়ে একই সঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সে সমস্ত অনলাইন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করেনা, হীন উদ্দেশ্যে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায় ও নানা অনৈতিক কাজে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যেসমস্ত অনলাইন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে আসছে, গণমাধ্যম জগতে সত্যিকার ভূমিকা রাখছে, তারা রেজিস্ট্রেশন পাবে।

‘সমাজ ও রাষ্ট্রে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের ভূমিকা অনেক বড় ও এ কারণে ভুয়া সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদেরই ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা নেওয়া প্রয়োজন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বহুসময় আমাদের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। ’ 

এমন বেশকিছু প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সমস্যা প্রতিকারে নিজের উদ্যোগের কথাও জানান তিনি।   
ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সহ-সভাপতি নজরুল কবীরসহ অন্যান্যের মধ্যে সভায় বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ফিরোজ, সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, রাজু আহমেদ ও মুরসালিন নোমানী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা,  মে ২৬, ২০২০
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।