বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘ছুটির নামে তথাকথিত লকডাউন তুলে নেওয়ার পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার কী প্রমাণ করতে চায়- করোনা থেকে তারা শক্তিশালী? এ ছুটি প্রত্যাহারের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে আক্রান্তের দিকে ঠেলে দেওয়া হলো।
তিনি বলেন, ‘এখনই উপযুক্ত সময় ছিল কিছুদিনের জন্য হার্ড লকডাউন কার্যকর করে ব্যাপক জনগণকে টেস্টের আওতায় এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। কিন্তু সরকার সেই পথে না গিয়ে হাঁটছে মৃত্যুর মিছিল বাড়ানোর পথে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অধিক সংখ্যক টেস্ট এবং কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে আনার পর লকডাউন শিথিল করেছে। আর বাংলাদেশে করোনা সংক্রামণ ও মৃত্যুর ভীতিকর মাত্রায় প্রতিটি মানুষ যখন আতঙ্কিত-উৎকন্ঠিত তখন ছুটির নামে তথাকথিত লকডাউন প্রত্যাহার করা হলো। ’
বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দমন-পীড়নের প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, ‘গত এক দশকে প্রতিটি ঘটনায় বিরোধীদল ও মতের মানুষের বিরুদ্ধে র্যাব-পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে ক্ষমতাসীনরা পরিস্থিতির ওপর জবরদস্তিমূলক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এবারও মনে হয় তারা (র্যাব-পুলিশ) একই কায়দায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
এমএইচ/আরবি/