সোমবার (১৫ জুন) এক বিবৃতে নেতৃদ্বয় বলেন, বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামের মানস গঠনেও সংবাদপত্রের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম কোনো কোনো ক্ষেত্রে বর্তমানে অদৃশ্য চাপের কারণে যথাযথ ভূমিকা রাখতে না পারলেও সংবাদপত্রের অপরিহার্যতা অস্বীকার করা যায় না।
তারা বলেন, বিশ্বায়ন ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে সংবাদপত্র সংকটে পড়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে, পত্রিকার গ্রাহক ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে। সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিকরা কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। কোনো কোনো পত্রিকার প্রিন্ট ভার্সন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এ খাতে সরকারের কাছে প্রণোদনাও চেয়েছে।
তারা সংবাদপত্র শিল্প বাঁচানোর জন্য নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে শুল্ক কমানো, আয়কর প্রত্যাহার, বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর উৎসে কর কমানোসহ সরকারি ব্যাপক প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, আমাদের অগ্রগতি স্থিতিশীলতা ও উন্নত সমাজ বিনির্মাণের প্রয়োজনেই গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্র শিল্পকে স্বাধীন ও সত্য সংবাদ পরিবেশনের স্বার্থে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকার এবং সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/