সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে টিএসসি এলাকায় ভিড় না করতে মাইকিং করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সদস্য তানবীর হাসান সৈকতের অনুসারীরা। সেখানে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহফুজ চৌধুরী ও কবি জসীম উদ্দীন হলের জিএস ইমাম হাসানের কথা কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে ইমাম হাসান বলেন, আমি মাইকিং করছিলাম। তখন ছাত্রদলের একজনকে গাড়ি নিয়ে চলে যেতে বললে তিনি যাবেন না জানান। তিনি ক্যাম্পাসের পরিচয় দেন। তখন আমি বললাম ক্যাম্পাস বন্ধ, তাই আপনাকে চলে যেতে হবে। এ কথা বলায় তিনি আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে তিনি গাড়ি থেকে নেমে আমার শার্টের কলার ধরেন। তখন ছাত্রদলের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও আমাকে মারধর শুরু করেন। আমাকে উদ্ধার করতে গেলে খাবার বিক্রেতা মানিকের হাত ভেঙে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে ছাত্রদল নেতা মাহফুজ বলেন, আমি টিএসসিতে গাড়ি নিয়ে দাঁড়াতেই ইমাম হাসান হ্যান্ডমাইকে আমাকে চলে যেতে বলেন। আমি বললাম, ভাই একজন আসবে তাই দাঁড়িয়েছি। তখন ইমামসহ তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এক পর্যায়ে তারা আমাকে মারধর শুরু করেন।
ঘটনার পর ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সদস্য সচিব আমান উল্লাহ এক বিবৃতিতে দাবি করেন, সৈকত ও তার অনুসারীরা সূর্যসেন হল ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান চৌধুরীকে ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশ দেন। কিন্তু মাহফুজ তা না মানলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সৈকত ও তার অনুসারীরা মাহফুজকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালে দেখতে পাচ্ছি—ছাত্রলীগের ওপর ছাত্রদলের হামলা। ছাত্রলীগের একজন আহত—এমন নিউজ, এতে আমরা বিস্মিত। যেখানে মাহফুজ ও তার সঙ্গীরা হামলার শিকার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
এসকেবি/এমজেএফ